ঢাকা,রোববার, ১৯ মে ২০২৪

চকরিয়ায় গভীর রাতে প্রবাসীর বাড়িতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের লুটপাট, ফাঁকা গুলি, আহত দুই

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে প্রবাসীর বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। এ সময় পর পর তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এবং বাড়ির ঘেরাবেড়া ভাঙচুরসহ ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করায় সদ্য দেশেফেরত প্রবাসী মিনহাজ উদ্দিন সোহেলকে বেধড়ক পিটুনি এবং তাঁর অন্তসত্ত্বা স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে মারধর করা হয়। এ সময় লুট করা হয় ঘরে থাকা নগদ টাকা, তিনটি মোবাইল সেট ও স্ত্রীর গলার চেইন লুট করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এই অবস্থায় প্রবাসী ও তার স্ত্রী চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষ ঘুম থেকে জেগে উঠে এবং তারা সেখানে জড়ো হয়। পরে মসজিদের মাইকেও এই ঘটনা এলাকাবাসীকে জানানো হয়। এর পর পুলিশের জাতীয় জরুরী সেবার ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে পুলিশ পৌঁছার আগেই সদলবলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও সেখানে জকরিয়া নামের এক সন্ত্রাসীকে আহত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে। উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের সাকের মোহাম্মদ চর গ্রামের দিঘীরপাড় জামে মসজিদ সংলগ্ন গ্রামের প্রবাসীর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের শিকার প্রবাসী মিনহাজ উদ্দিন সোহেল অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় বেলাল হোছেন গং তার ক্রয়কৃত জায়গা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। সেই ধারাবাহিকতায় গত ৩ জানুয়ারী এবং ২৪ জানুয়ারী দুইদফায় বাড়িতে হামলা, লুটপাট চালায়। এই ঘটনায় থানায় পর পর দুটি লিখিত অভিযোগ, পরবর্তীতে আদালতে মামলা করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে বেলাল গং। সর্বশেষ তারা ভাড়াটে সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে গত রবিবার দিবাগত রাতে তার বাড়িতে তৃতীয় দফায় হামলা, মারধর ও লুটপাট চালায়। এ সময় স্থানীয় জনগণ ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে খবর দেয়। একইসাথে দিঘীরপাড় মসজিদের মাইকে এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানিয়ে সতর্ক করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পৌরসভার মগবাজার এলাকার জকরিয়া নামের এক ভাড়াটে সন্ত্রাসীকে নিয়ে যায়।

৯৯৯ এ ফোনের পর ঘটনাস্থলে যাওয়া চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মুজিবর রহমান বলেন, ‘একটি জায়গা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জেরে এই ঘটনা। তবে ঘটনার সময় কোন ফাঁকা গুলি করার তথ্য সঠিক নয়। ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জকরিয়া নামের এক ব্যক্তিকে স্বজনদের কাছে দেওয়া হয়েছে।’

এ ব্যাপারে থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ‘সেখানে কী ঘটনা ঘটেছে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তে অভিযোগ সত্য হলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

 

পাঠকের মতামত: